রচনা ঃ শাহ্ মোঃ নাঈমূল করিম
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : মোহম্মদ রুবেল আহম্মেদ
প্রযোজনা : মীরা মাল্টি-মিডিয়া
দৃশ্যায়ন :পার্বত্য রাঙ্গামাটি
কাহিনী সংক্ষেপ:
রাকিব এসেছে রাঙামাটি। উঠেছে তার এক বন্ধু আরিফের বাসায়। আরিফ অবিবাহিত, একাই থাকে। কিন্তু রাকিব বিবাহিত। তার স্ত্রীর নাম হলো নীরা। বিয়ের পর থেকে প্রতি পদে পদে রাকিবকে নিয়ন্ত্রণ করে সে। যেন একটা ফাঁস ঝুলিয়ে দিয়েছে সে রাকিবের গলায়। আর এই ফাঁস থেকেই কিছুদিনের জন্য বাঁচতে রাকিব এসেছে রাঙামাটি। হ্যাঁ, তার বন্ধু আরিফই তাকে বলেছে কয়েকটা দিনের জন্য রাঙামাটি আসতে। আরিফ নাকি তাকে চিনিয়ে ছাড়বে, জীবনের আসল রঙটা কী? দেখিয়ে ছাড়বে জীবনটা আসলে কত রঙীন! অবশ্য জীবনের এই রঙটা নিজেই দেখতে চেয়েছে রাকিব। হ্যাঁ, সে যতই বন্দি থাকুক, মনটা যেন শুধু উড়তে চায়। সে উড়তেই এসছে রাঙামাটি। আরিফের ওখানে উপস্থিত হওয়ার পরই, আরিফ তাকে জীবনের রঙ দেখানো শুরু করল। রাঙামাটি সব ঘুরিয়ে দেখাল। পরিচয় করিয়ে দিল মারিয়ার সাথে। মারিয়াকে দেখে যেন রাকিবের মাথা ঘুরে গেল। এরকম ড্যাশিং টাইপ মেয়ে সে তার জীবনে দেখেনি। জড়িয়ে গেল মারিয়ার প্রেমে। অনেক জ্বালাতন সহ্য করেছে সে ঢাকায়। রাঙামাটিতে এসে না হয় কয়েকটা দিন নিজের ইচ্ছেমতো বাঁচুক। জীবনটাকে উপভোগ করুক। যেই কথা সেই কাজ। রাকিব-মারিয়া ও আরিফ-টিনা জুটি বেঁধে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়াতে লাগল রাঙামাটি। করতে লাগল চুটিয়ে প্রেম। প্রেম যখন গভীরে ঠিক তখন নীরা অর্থাৎ রাকিবের স্ত্রী প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে গেল রাকিবের উপরে। তাইতো তার আর রাঙামাটিতে থাকা সম্ভব না। মারিয়াকে এ কথা বললে তার মনে ব্যথা লেগে উঠলো। সে কিছুতেই রাকিবকে ছাড়তে চায় না। অবশেষে অনেক বুঝিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিল রাকিব। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড থেকে কিডন্যাপ হয়ে গেল রাকিব। মারিয়ার সাবেক বয়ফ্রেন্ড জামাল তাদের এই গোপন সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছে। এবং প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়েছে রাকিবের উপর। তাই রাকিবকে ধরে নিয়ে তার আস্তানায় বন্দি করে রেখেছে। জামাল হচ্ছে রাঙামাটির কুখ্যাত সন্ত্রাসী। কি করবে রাকিব? তাহলে কি শেষ পর্যন্ত উড়তে এসে মরতে হবে তাকে? না, জামাল তাকে ৭ দিন সময় দিয়েছে বাঁচার জন্যে। কিন্তু ৭ দিনের মধ্যে পালিয়ে বাঁচতে না পারলে, তাকে মেরে ফেলবে। তবে শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিল রাকিব, নীরা ও আরিফ, টিনার জীবনে?